ধূমকেতু প্রতিবেদক, নাটোর : জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং জ্বালানী কয়লা সংকট সমাধানের দাবীতে নাটোরে মানববন্ধন করেছে ইটভাটা মালিক সমিতি। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন -২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৯-এ বর্ণিত ধারায় তারা হয়রানির চিত্র তুলে ধরেন।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কালেক্টরেট ভবন চত্বরে তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি শরিফুল ইসলাম রমজান, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন হোসেন, সহ সভাপতি আনিসুর রহমানসহ ইটভাটা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিগত ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ইটভাটা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তারা রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ সকল অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। ২০১৩ সালের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের জিগজ্যাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ আছে। কিন্তু ‘দূরত্ব নির্দিষ্ট’ উপধারা সংযোজন করায় দেশের অধিকাংশ ইটভাটা অবৈধ হয়ে পড়ে। ফলে মালিকরা ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। পরিবেশ অধিদপ্তরে বহুবার আবেদন করেও ২০১৯ সালের কিছু ধারার সংশোধন আনা হয়। তবুও ওই ধারার কোন পরিবর্তন হয়নি।
তারা আরও বলেন, অধিকাংশ ইটভাটা মালিকগণ লাইসেন্স ও ছাড়পত্র না পাওয়ায় বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া ইট প্রস্তুতের জন্য জ্বালানী কয়লা বর্তমানে কিছু অতি মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়েছে। ফলে কয়লার দাম ৮ হাজার টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এত করে ভাটার মালিকরা জ্বালানী সমস্যায় পড়ছেন। সিন্ডিকেট তাদের কাছে বেশি দামে জ্বালানী কয়লা বিক্রি করছে। বক্তারা এসব সমস্য সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।