ধূমকেতু নিউজ ডেস্ক : দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সচল রাখতে গত ১১ আগস্ট থেকে করোনা নিয়ন্ত্রণের কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। খুলে দেওয়া হয় প্রায় সবকিছু। পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরীভিত্তিতে অন্তত তিনটি বিষয়ে বিধিনিষেধ কার্যকর রাখার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শনিবার বিকেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তিন পরামর্শের কথা জানান কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয় আছে- যেগুলো জরুরিভিত্তিতে বিধিনিষেধের আওতায় রাখা উচিত। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে না দেওয়া। দ্বিতীয়ত, সব সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দিতে হবে। হোক সেটা রাজনৈতিক, দলীয় বা ধর্মীয়। তৃতীয়ত, রেস্টুরেন্টগুলো খোলা থাকলেও যেন সেখানে বসে খাওয়া-দাওয়া বা আড্ডা না হয়। সেখানে শুধু খাবার বিক্রি হবে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, এই তিনটি বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপের জন্য আমরা সরকারকে বিশেষভাবে বলেছি। আমাদের আরও কয়েকদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সে অনুযায়ী আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর নয়তো বড় কোনো বিপদের মুখোমুখি হতে হবে- এমন শঙ্কার কথাও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা কঠোর লকডাউনের ফল পেয়েছি। দেশে যেখানে সংক্রমণ হার ছিল ৩২ শতাংশের বেশি, তা ১২ শতাংশ কমে এখন ২০ শতাংশের মধ্যে চলে এসেছে। তার মানে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। সুতরাং এই মুহূর্তে সব বিধিনিষেধতুলে নেয়ার ব্যাপারে আমাদের আরেকটু ভেবে দেখা উচিত।
