ধূমকেতু প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কয়েকটি গ্রামে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
সোমবার (২ মে) জামায়াতের সাথে দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার দেবিনগর ইউনিয়নের মোমিনটোলা ও চরবাগানপাড়া, শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের রাধানঘর ও ৭৬ বিঘি এবং গোমস্তাপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কিছু মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেছেন।
এর আগে সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের মোমিনটোলা ও চরবাগানপাড়া দুইটি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করেছিল এই দুই গ্রামের কিছু বাসিন্দা। সোমবার মোমিনটোলা গ্রামে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এসময় আনুমানিক ১১০-১২০ জন মুসল্লী নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, চরবাগানপাড়া গ্রামের ইমামতি করেন মাওলানা কাওসার হোসেন। এতে প্রায় ৩০-৩৫ জন মুসল্লী অংশ নেয়। সকাল ০৮টা ২০ মিনিটে ইদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রাধানগর, ৭৬ বিঘি গ্রামেও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদে ঈদুল ফিতের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মোজাম্মেল হক। সেখানে ১২০-১৫০ জন মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।
সদর উপজেলার দেবিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, দেবিনগরের মোমিনটোলা ও চরবাগানপাড়াসহ কয়েকটি পাড়ায় কিছু মানুষ প্রতিবছরই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রাখে ও ঈদের নামাজ আদায় করে। এবছরও এই দুই গ্রামের কিছু মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেছে।
বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, মূলত আহলে হাদিসের কিছু মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ ও রোজা রাখে। বিনোদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এবছর ইদের নামাজ পড়েছে। তবে গ্রামের সবাই করেছে বিষয়টি এমন নয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহমুদার রহমান মুঠোফোন জানান, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সাথে মিল রেখে দেশের অনেক জায়গাতেই রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করেন কিছু মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু মানুষ এবারও ঈদের নামাজ আদায় করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, দেবিনগর ইউনিয়নের দুইটি গ্রামে সোমবার ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে ও যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। শান্তিপূর্ণভাবে এই দুই গ্রামে ঈদের জামায়াত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
