ধূমকেতু প্রতিবেদক, রায়গঞ্জ : বোরো ধান কাটা শেষ হতে না হতেই প্রতি বছরেই শুরু হয় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের বিভিন্ন ধান খেতে খুদে শিক্ষার্থীদের ফুটবল খেলা। এ সময় গ্রাম গঞ্জের ফসলের জমি যেন এখন ফুটবল খেলার মাঠ হিসেবেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিকেল হলেই শুরু হতো উপজেলার বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় মাইক ভাড়া করে সন্ধা পর্যন্ত চলতো এমন মনো মুগ্ধকর ফুটবল খেলা। আর রাত হলেই শুরু হয়ে যেতো ধুমধাম করে মোড়ক পোলাও রান্নার পালা। এ যেনো শিক্ষার্থীদের এক অন্যরকম আনন্দ। যদিও আনুস্ঠানিক ভাবে শুরু করা না হলেও মনো মুগ্ধকর এবারের ফুটবল খেলা প্রায় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়েই শেষ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী মৌজায় ফাইনাল খেলা শেষে শুরু হয়েছে আমন ধানের চাষাবাদ। ফলে এবারের মতো শেষ হলো ছোটদের ধানের খেতে ফুটবল খেলা।
প্রতিবার খেলার সময় বিবাহিত-অবিবাহিত, ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ভাগ করে খেললেও এবার দেখা যাচ্ছে তার একটু ব্যতিক্রম। লালদল বনাম নীলদল, কালোদল বনাম সাদাদল এমনকি চাঁনপাড়া বনাম কাড়িগরপাড়া নামে ভাগ করে খেলতে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি গ্রামপাঙ্গাসী, কৃষ্নদিয়া, বোয়ালিয়ারচর, নিজামগাতী, চাঁনপাড়া ও কারিগরপাড়াতেও।
মাঠের সীমানার বাইরে থেকে তাদের উৎসাহ দিতে দেখা যাচ্ছিল বিভিন্ন বয়সের উৎসুক জনতাকে। দর্শক শারির একজনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, যখন ধান কাটা শেষ, তো সবার অবসর হয়ে যায়। তখন আর কাজ থাকে না। এই সময়ে বর্ষার পানি ও আমন ধান রোপনের আগ পর্যন্ত ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও ফুটবল খেলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। কাজ না থাকায় আমরাও বসে বসে উপভোগ করতাম মনোমুগ্ধকর এমন খেলাগুলো।
এ রকম মনো মুগ্ধকর ছোটদের ফুটবল খেলা প্রায় প্রতি বছরেই আমন ধান কাটার পর পরই শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও প্রায় আনুষ্ঠানিকভাবেই শেষ করা হয়েছে এবছরের মতো খুদে শিক্ষার্থীদের মনো-মুগ্ধকর আমন ধানের খেতে ফুটবল খেলা।
