ধূমকেতু প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : নওগাঁর নিয়ামতপুরে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজের ভাই ও তার পরিবারের আকস্মিক আক্রমনে শিশু, গৃহবধুসহ তিনজন আহত হয়। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধুর স্বামী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মৃত সীতারাম বর্মনের ছেলে প্রকাশ বর্মনের মেয়ে রিপা বর্মনের (১২) চুল বাঁধা কাঁকড়া চাচাতো বোন স্বপন বর্মনের মেয়ে মাম্পি (১৩) এর মাথায় দেখে গত শনিবার ৬ আগষ্ঠ বিকেল সাড়ে ৫টায় তা নিতে চায়। এ সময় মাম্পি গালিগালাজ শুরু করলে রিপা মাম্পির মাথা থেকে কাঁকড়া খুলে নেয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ঐ দিন সন্ধ্যা ৬টায় প্রকাশ বর্মনের বাড়ীতে জোরপূর্বক ঢুকে প্রকাশ বর্মনের শিশু কন্যা রিপা বর্মন (১২), স্ত্রী বনলতা (৪৫) ও প্রকাশ বর্মন কে মারধর করে। এতে শিশু রিপা, গৃহবধু বনলতা মারাত্মকভাবে আহত হয়।
ভুক্তভোগী ও থানায় অভিযোগকারী প্রকাশ বর্মন বলেন, স্বপন বর্মন আমার নিজের ভাই। আমার ভাতিজির মাথা হতে আমার মেয়ে কাঁকড়া খুলে নেওয়া জেরে ঐদিন অর্থাৎ ৬ আগষ্ট শনিবার সন্ধ্যে ৬টায় আমার ভাই স্বপন বর্মন (৪০), আমার ভাইয়ের স্ত্রী সুশকী রানী (৩৬) এবং আমার ভাতিজা সজিব বর্মন (১৮) আমার বাড়ীতে জোরপূর্বক ঢুকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমার স্ত্রী তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আমার ভাইয়ের স্ত্রী সুশকী রানী আমার স্ত্রী বনলতা (৪৫) এর মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাথে সাথে সে আমার মেয়ে রিপাকেও এলাপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এতে আমার মেয়েও মারাত্মকভাবে আহত হয়। আমি এগিয়ে আসলে আমার ভাই স্বপন বর্মন বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট শুরু করে। আমার স্ত্রীকে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার স্ত্রীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।