ধূমকেতু প্রতিবেদক, নওগাঁ : গত ১০ আগস্ট দিবাগত রাতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার বৈকুন্ঠপুর বাজারে দুইজন নৈশ্য প্রহরীসহ তিনজনকে বেঁধে রেখে ৬ টি দোকানের তালা কেটে ডাকাতি করা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
এ ঘটনায় একটানা ৫ দিন ব্যাপী নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, সিএনজি এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি ওসি হাশমত আলী।
আটককৃতরা হলো, নওগাঁ সদর থানার ভবানীপুর গ্রামের ওসমান সরদারের ছেলে ওয়াস কূরনী, একই গ্রামের মৃত শামমু শেখের ছেলে বেলাল (২৬), আবুল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২), একই উপজেলার নামানুরপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আসাদুল (২৯), চকপ্রাচী গ্রামের আঃ জলিলের ছেলে নান্টু (৩২) ও পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে এনামুল (৫৫), একই উপজেলার উৎরাইল গ্রামের শেখ মোহাম্মদের ছেলে আবু বক্কর (৫৫)।
ডিবি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় বদলগাছী থানায় মামলা রুজু হলে পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ রাশিদুল হক মামলাটি ডিটেকশনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজিউর রহমানকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব জয়ব্রুত পাল, ডিবি ইনচার্জ হাশমত আলী, এসআই (নিরস্ত্র) বদরুদ্দোজা জিমেল এবং বদলগাছি থানা পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত পুলিশের একটি চৌকস টিম সাক্ষীদের দেওয়া তথ্য মতে গত ১৬ আগস্ট দিবাগত রাত থেকে ২০ আগস্ট দিবাগত রাত পর্যন্ত একটানা ৫ দিনব্যাপী নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, সিএনজি এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে।

সত্যতা নিশ্চিত করে ডিবি ওসি হাশমত আলী বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট দুপুর বেলা নান্টু মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে নওগাঁ সদর থানার তিলকপুর ইউনিয়ন এলাকায় রাতের বেলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য বলে। পরিকল্পনা মোতাবেক ওয়াজ কূরনী নিজস্ব সিএনজি নিয়ে তিলকপুর ইউনিয়ের ভবানীপুর গ্রামে যায়। সেখান থেকে সবাইকে নিয়ে বদলগাছী থানার বৈকন্ঠপুর বাজারের উদ্দ্যেশ্যে রওনা করে এবং ১১ আগস্ট রাত অনুমান সাড়ে ১২ টার দিকে তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন বৈকণ্ঠপুর বাজারে গিয়ে ২ জন নৈশ্য প্রহরীসহ মোট ৩ জনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল হতে প্রায় ৪ শ মিটার দূরে মরিচ ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে কাঁচা পাট ও কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখে প্রায় এক ঘন্টা ধরে ৬ টি দোকানের তালা কেটে মালামাল চুরি করে সিএনজি যোগে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত মোট ৮ জনের মধ্যে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামী রবিউল বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিকে আটক করা ও বাকি মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।