ধূমকেতু প্রতিবেদক : রাজশাহীর আসাম কলোনী এলাকার কুখ্যাত ব্যবসায়ী রুবেলসহ সাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। এসময় বিপুল পরিমান মাদক ভাং গাছ-১৯ কেজি ও শুকনা ভাং-৮.৪ কেজি উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ২ টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন আসাম কলোনীস্থ (মাজারের সামনে) এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানাধীন ১৮নং ওয়ার্ড আসাম কলোনী এলাকার আঃ রাজ্জাকের ছেলে মোঃ রুবেল (৪২), মৃত চান মিয়ার ছেলে ইউনুস (৪০), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে বিপ্লব (৩৩), মৃত বাদশার ছেলে বাদল (৩৫) ও নিউ কলোনী বউ বাজার এলাকার মৃত গোলাম রসূলের ছেলে সাহেব আলী বাবু (৩৪)। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন এলাকার আঃ কুদ্দুসের ছেলে শহিদ হোসেন (৩০) এবং ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন গোয়ালপাড়া এলাকার ওহাব শেখের ছেলে ওহেদ শেখ (৩৩)।
র্যাব-৫ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানাধীন ১৮নং ওয়ার্ডের আসাম কলোনীস্থ (মাজারের সামনে) জনৈক পঁচা (৭০) এর কয়লা/ছাই মিলের পিছনাংশে গ্রেপ্তারকৃত ১নং আসামী রুবেল (৪২) সহ টিনশেড রুমের ভিতর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য ভাং ও ভাং গাছ নিজেদের হেফাজতে রাখিয়া বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করিতেছে। উক্ত সংবাদ পাওয়া মাত্রই রাত্রী সোয়া ২ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্রই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালানোর চেষ্টা করে। এসময় রুবেলসহ সাত জনকে আটক করা হয়।
র্যাব-৫ জানায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকা বাসীরা জানায় যে, আটককৃত আসামীরা স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ মাদকচক্রের সদস্য। এরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এমনকি রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ এবং খুচরা ভাবে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। তারা এলাকায় বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করে বলে দাবী করত। যার ফলে এলাকাবাসীরা কেউ এই সংঘবদ্ধচক্রের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের মাদক দিয়ে ধরিয়ে দিত বলে এলাকাবাসী জানায়। সংঘবদ্ধ চক্রটির এ ধরণের মাদক কর্মকান্ডের কারণে তারা অতিষ্ঠ এবং আতঙ্কগ্রস্থ। র্যাব এর অভিযানে তাদের আটক করার কারণে এলাকাবাসীরা র্যাব এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাদের বিভিন্ন কু-কীর্তির কথা উপস্থিত র্যাব সদস্যদের কাছে বর্ণনা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এ চক্রে আরও একাধিক সদস্য রয়েছে। এসব সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যাব-৫ আরও জানায়, উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় ধারা- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সনের ৩৬ (১) সারণী ১৮ (খ)/ ৩৬ (১) সারণী ১৯(খ) ধারায় মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
