ধূমকেতু প্রতিবেদক : রাজশাহীতে অটোরিকশা চুরির সংঘবদ্ধ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। এসময় আসামিদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া অটোরিকশা, ৪ টি ব্যাটারি, ও অন্যান্য চোরাইকৃত অটোরিকশার অংশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, রাজশাহীর দামকুড়া থানার শিতলাইয়ের রফিকুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন (২০), রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার কাকল বাড়ির মৃত রহিম মন্ডলের ছেলে মালেক মন্ডল (৫৫) ও মালেকের স্ত্রী ফাহিমা বেগম (৪০)।
সোমবার (২ মে) বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চন্দ্রিমা থানায় উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেন।
তিনি বলেন, নগরীর চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনীর শামিম গত ২৫ এপ্রিল ২০২২ বিকেল ৩ টায় তার ব্যবহৃত অটোরিকশা প্রতিদিনের মত চালিয়ে বাড়ির সামনে রেখে ভিতরে যায়। বাড়ির ভিতরে কাজ শেষ করে আধা ঘন্টা পরে বাহিরে এসে দেখে তার অটোরিকশাটি নাই।
উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ আসামিদের নাম ঠিকানা ও অবস্থান সনাক্তপূর্বক চুরি যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেনের নেতৃত্বে এসআই প্লাবন কুমার সাহা ও তার টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১ মে ২০২২ বিকেল পৌনে ৪ টায় বোয়ালিয়া থানার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন মোড় হতে আসামি আল-আমিনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি আল-আমিনের দেওয়া তথ্যমত সন্ধ্যা ৬ টায় রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার কাকল বাড়ি আদর্শ গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মালেক মন্ডল ও তার স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আসামিদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া অটোরিকশা, ৪টি ব্যাটারি, ও অন্যান্য চোরাইকৃত অটোরিকশার অংশ বিশেষ উদ্ধার হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আল-আমিন জানায়, সে অটোরিকশাটি চুরি করে আসামি মালেক মন্ডল ও মালেকের স্ত্রী ফাহিমা বেগমের কাছে বিক্রি করে। আসামি মালেক ও তার স্ত্রী ফাহিমা চোরাই জেনেও অটোরিকশা ক্রয় করার কথা স্বীকার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
