ধূমকেতু প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীতে ভুয়া ডিবি পুলিশ চক্রের মাসুম হোসেন (৩০) নামের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তি নগরীল বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন বড়কুঠি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আব্দুল্লাহ (৩০) নামের একব্যক্তি চলতি মাসের গত ১৫ এপ্রিল রাত পৌণে ৯টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার গোগ্রাম পুজাতলা মোড়ে তার নিজ মুদি ও বিকাশ এজেন্টের দোকানে বসে ক্যাশের হিসাব করছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাসে করে ৪ জন ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে লকডাউনের সময় দোকান খোলার অপরাধে তার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দেয়। তার দোকানে থাকা ২,০০,০০০ টাকা নিয়ে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে রাজশাহীর দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে তাকে ব্যাপক মারপিট করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
অপহরণের বিষয়টি জানাজানি হলে অপহরণকারীর একজনকে তার পিতা মোবাইল ফোনে জানায় যে, গ্রামের লোকজন তাদের বাড়ি ঘেরাও করেছে। তখন অপহরণকারীরা আব্দুল্লাহকে গোদাগাড়ী থানার ঝিকড়া গ্রামের ফাঁকা জায়গায় হ্যান্ডকাপ খুলে তাকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় এবং তার কাছে থাকা দুইটি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে রাজশাহীর দিকে আসতে থাকে।
পরে আব্দুল্লাহ ঝিকড়া গ্রামের এক বাড়িতে গিয়ে তাদের মোবাইল ফোনে তার বন্ধু আলীকে অপহরণের ঘটনাটি বললে আলী তার বন্ধু নয়নের মাধ্যমে বিষয়টি কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ তৎক্ষনাৎ কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে ১৫ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-২২৫৮ মাইক্রোবাসটিকে থামার জন্য সংকেত দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ জন ভুয়া ডিবি পুলিশ কৌশলে পালিয়ে গেলেও কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ চালকসহ মাইক্রোবাসটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার ও অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।