ধূমকেতু নিউজ ডেস্ক : যশোরে যৌতুকের জন্য মারপিটের দায়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজম মাহমুদকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এসআই আজম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। আজম মাহমুদ বরখাস্ত হয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নীলুফার শিরিন এ সাজা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি-২ মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল। সাজাপ্রাপ্ত এসআই আজম মাহমুদ কারাগারে আটক আছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি আজম মাহমুদ পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর গ্রামের একরাম আলীর মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। এএসআই পদে পদোন্নতির সময় আসামিকে দেড় লাখ টাকা ও এসআই পদে পদোন্নতির সময় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছিল স্ত্রী রাবেয়ার পরিবার।
অভিযোগে বলা হয়, চাকরির সুবাদে যেখানে পোস্টিং হয় সেখানে মেয়েদের সাথে সম্পর্ক ও বিয়ে করেন আজম মাহমুদ। সর্বশেষ আজম মাহমুদ বাগেরহাটে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে বাগেরহাট এসপি তদন্ত করে সত্যতা পায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি ২০১৯ সালের ২৭ জুন আসামি আজম মাহমুদ বাড়িতে এসে স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেন। পরে স্ত্রী রাবেয়া আক্তার যৌতুকের দাবিতে মারপিটের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।
এ মামলার দীর্ঘ স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি আজম মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
বাদী রাবেয়া খাতুন জানিয়েছেন, এই মামলায় আজম মাহমুদের বিরুদ্ধে আদালতে তার মা ফিরোজা বেগম সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই কারণে মাহমুদের সাজা হয়েছে।
