ধূমকেতু প্রতিবেদক, রায়গঞ্জ : জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কে শুধু মাত্র ইট বিজানো হলেও দীর্ঘ ১৫ বছরেও পাকা করা হয়নি সড়কটি। মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তেরও সৃস্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এসব পানি জমে তৈরি হয় কাঁদা আর কাঁদা। তখন সড়কে পায়ে হেটেও চলাচল মুশকিল হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন হলেও পাকা না করায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির।
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড়া কবরস্হান নিজাঁমগাতী চৌরাস্তা থেকে চাঁনপাড়া-কারিগরপাড়া জামে মসজিদ হয়ে গ্রামপাঙ্গাসী বাজার পর্যন্ত অবস্থিত জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মরহুম সাবেক চেয়ারম্যান আলোমগির কবির খান সাহেবের সারবিক যোগাযোগের ভিত্তিতে প্রায় ১৫ বছর আগে শুধু মাত্র ইট বিছানো হয় উক্ত সড়কটিতে। তারপর বছরের পর বছর পেড়িয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত পাকা করা হয়নি সড়কটি। এ কারণে সড়কটির বিভিন্ন যায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পায়ে হেটে চলাচলও মুশকিল হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০ গ্রামের শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকে।
উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের ইজিবাইক চালক সোহেল, আব্বাস আলী, রব্বানী, মেরাজুল ইসলাম ও শাহিন সরকার জানান, আমরা উপজেলার বিভিন্ন রুটে ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালাই। কিন্তু সড়কটি পাকা না হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের গাড়িটা অন্য কোনো বাড়িতে রেখে যেতে হয়। ভাগ্য খারাপ হলে সহজেই চুড়ি হওয়ারও ভয় থাকে।
এদিকে উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী খাপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম ভূইয়া বলেন, ১৫ বছর আগে সড়কটি ইট বিছানো হলেও আজ পর্যন্ত সড়কটি পাকা করা হয়নি। এলাকার শিখ্যার্থী ও জণসাধারণের চলাচলের কথা বিবেচনা করে উক্ত সড়কটি পাকা করা খুবই দরকার বলে আমি মনে করি। আশা করি আমাদের ইউনিয়নের নতুন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিবেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, উক্ত সড়কটি আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি পাকা হোক এটাই আমি চাই। অত্র ইউনিয়নে এ জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সহ আরোও বেশ কয়েকটি রাস্তা এখনো পাকা করা হয়নি। ফলে জনসাধারনের ভোগান্তির শেষ নেই। বিষয়টি এমপি বলে তার সারবিক সহযোগিতায় উক্ত সড়কটি পাকা করনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
