ধূমকেতু নিউজ ডেস্ক : বরগুনা সদর উপজেলায় মামলার পরও বখাটেরা শ্লীলতাহানি করায় মিম নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বেল্লাল গাজী বাদী হয়ে রাকিব, চুন্নু ও জহিরের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় মামলা করেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার চাচা মিরাজের বাড়ির সামনে একা হাঁটছিল। ওই সময় মনিরের সহযোগী বখাটে রাকিব, জহির ও চুন্নু স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। শিক্ষার্থীর মা জানতে পেরে বখাটে রাকিব, জহির ও চুন্নুকে গালমন্দ করে। বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাসায় দরজা বন্ধ করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে মিম।
শিক্ষার্থীর বাবা বেল্লাল গাজী বলেন, আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করত বখাটে মনির। এ বিষয়ে বরগুনার সদর থানায় গত ১৯ মে মনিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় মনিরের নামে পুলিশ অভিযোগপত্র দিলেও মনিরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তিনি বলেন, মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। মনির এখনও পলাতক। মামলার পর থেকে মনিরের ভাই জহির ও ভাগ্নিজামাই চুন্নু আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। মনির গ্রেফতার হলে আমার মেয়ের এমন পরিণতি হত না। বৃহস্পতিবার মনিরের ভাই জহির ও ভাগ্নি জামাই চুন্নু রাকিব নামের একটি ছেলেকে দিয়ে আমার মেয়েকে সকাল ১০টায় রাস্তার উপর শ্লীলতাহানি করায়। আমার মেয়ে লজ্জায় ঘৃণায়, ক্ষোভে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, স্কুলছাত্রীর বাবা বেল্লাল গাজী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে।
