ধূমকেতু প্রতিবেদক, পত্নীতলা : “বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ঠাঁই নাই” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দ্যেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় পত্নীতলায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) বিকালে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড নৌকা চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দ লতিফর রহমান শাহ’র সভাপতিত্বে প্রদাধ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল গাফফার।
আরও বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত হোসেন ও শাহীন চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফাতেমা জিন্না ঝর্না, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ রাহাদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ অরুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দিলিপ চৌহান উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়িকা সাবিনা আক্তার, যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়িকা, সালমা আক্তার সুমি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাসরিফ হেসেন সম্পদসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সুধিজন প্রমুখ।
বক্তারা সেই ঘটনার বর্ননা উল্লেখ করে বলেন, আজ থেকে ১৭ বছর আগে ২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে ২১ আগস্ট, রক্তাক্ত বিভীষিকাময় অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন শহীদ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর আহত হন, বর্বরোচিত ২১শে আগষ্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারী ঘাতকদের সহ এর মদতদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবী জানান বক্তারা।
বক্তরা বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূণ্য করতে সংগঠনের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই ঘৃণ্য হামলা চালায় ঘাতক চক্র।
ঘটনার মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমানকে ইন্টার পোলের মাধ্যমে দেশে নিয়ে এসে দেশের কারাগারে নিক্ষেপ করা হোক সুষ্ঠু বিচার করে তাদের শাশ্তির ব্যবস্থা করতে হবে।