ধূমকেতু প্রতিবেদক, মান্দা : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা কড়া নাড়ছে দুয়ারে। এ উৎসবকে ঘিরে নওগাঁর মান্দায় এবারে ১১৭টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলছে দ্বিতীয় দফার মাটি লাগানোর কাজ। সঠিক সময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা।
এদিকে দুর্গোৎসবকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ঘরে ঘরে বইতে শুরু করেছে উৎসবের আমেজ। পূজা উপলক্ষে নতুন জামা-কাপড় কেনা, লাড়ুসহ বিভিন্ন প্রকারের খাবার তৈরি ও অতিথি আপ্যায়নের ছক কষছেন অনেকে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে এবারে ১১৭ টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। এরই মধ্যে মণ্ডপগুলোর তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত তালিকা পাঠানো হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে। তবে এখন পর্যন্ত অনুদান প্রদানের কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে প্রত্যেক মণ্ডপে সরকারী অনুদান হিসেবে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এবারও হয়তো একই ধরণের নির্দেশনা আসতে পারে।
রাজশাহী মহানগরীর রেশমপট্টি এলাকার বাসিন্দা প্রতিমাশিল্পী অরুন কুমার পাল বলেন, এবারে তিনি ২৬ টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির জন্য মণ্ডপ কমিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এজন্য দৈনিক মজুরিতে আটজন প্রতিমাশিল্পীকে নিয়োগ দিয়েছেন। এসব মণ্ডপে সঠিক সময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে দিনরাত কাজ করছেন তাঁরা।
উপজেলা নাড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ চন্দ্র মÐল বলেন, পরিবারের সব সদস্যদের জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনতে হয়। প্রতিমা তৈরিসহ মণ্ডপ খরচের জন্য দিতে হয় চাঁদা। এ উৎসবকে ঘিরে নানা প্রকারের খাবার তৈরি করেন বাড়ির নারীরা। এসব কারণে প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময়ে অর্থের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। পূজা আসন্ন হলে ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা তৈরি করে সেগুলোতে বাড়তি নজরদারী করা হবে।