ধূমকেতু প্রতিবেদক, বদলগাছী : নওগাঁর বদলগাছীতে উপজেলা পরিষদের ভেতরে নির্মিত শহীদ মিনারটি উপজেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে ধরা হয়। আর এটি কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার। প্রায় ৪০/৪৫ বছর আগে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আগে বিজয় দিবস এলেই শহীদ মিনারটি সেজে উঠত। থাকত দেয়ালে ও আশপাশে আল্পনা। বিজয় দিবসে ফুলে ফুলে ভরে উঠত এই শহীদ মিনার। এই শহীদ মিনারটি উপজেলার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
কিন্তু এখন আর শহীদ মিনারটি আগের মতো নেই। অযত্ন-অবহেলায় ধুলো বালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে এটি। দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যার অভাবে জমে থাকা আগাছা ময়লার স্তুপের ভর্তি হয়ে আছে শহীদ মিনারটি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদের ভেতরের ৩ নং গেটের পার্শে শহীদ মিনারটি অবস্থিত। চারদিকে আগাছা ও ধুলো-বালি অবস্থায় স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ রয়েছে। ধুলো-বালির মধ্যেই এই শহীদ মিনারে এক গুচ্ছো ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে কে বা কাহারা।
স্থানীরা জানান, এটি বদলগাছী উপজেলার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার । কিন্তু ২/৩ বছর আগে সদর ইউনিয়নের পার্শে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হওয়ায় বিজয় দিবসে এটি আর ব্যবহার করেনা। বিজয় দিবস পালন না করলেও প্রতি বছরই এই শহীদ মিনারটি ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিছন্ন করে রাখতো উপজেলা প্রশাসন এবং সেখানেও একটি ফুলের তোরা প্রদান করতো উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু এ বছর এই নির্বাহী কর্মকর্তা এই শহীদ মিনারটিকে কোন পরিস্কার পরিছন্ন করেনি। শহীদ মিনারটি রয়েছে অযত্নে-অবহেলায় ও ধুলো-বালিতে মাখা।
আমির উদ্দিন বলেন, ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর সেই স্বাধীন দেশে রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে শহীদ মিনারটির এমন অবস্থা যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই দৃশ্য দেখে মনে হয় এ যেন শহীদদের অসনম্মান করা।
বেশ কিছু উপজেলাবাসী বলেন, এই শহীদ মিনারে জাতীয় দিবসগুলোতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো। কিন্তু বর্তমানে রক্ষণা-বেক্ষণ ও পরিস্কার পরিছন্নতার অভাবে শহীদ মিনারটির প্রতি অবমাননা করা হয়েছে।
মিঠাপুর ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার মতলেবুর রহমান সহ বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহান বিজয় দিবসে শহীদ মিানারটি পরিস্কার পরিছন্ন না করে অযত্নে রেখে অসম্মান করেছেন। এটা খুব দুঃখ জনক ব্যাপার।
বদলগাছী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার জবির উদ্দীন বলেন, শহীদ মিনারটি অযতেœ রাখা ঠিক করেনি।
উপজেলার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার টি কেন ধুলো-বালি ও অযত্নে-অবহেলায় পরে আছে সেটাকে কেন পরিস্কার-পরিছন্ন করা হয়নি আবার সেখানে দেওয়া হয়েছে এক গুচ্ছো ফুল বলে নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আলপনা ইয়াসমিনকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ১৬ ই ডিসেম্বরে কি শহীদ মিনারে কেউ ফুল দাই নাকি ফুল দাই ২১ শে ফেব্রæয়ারীতে। তিনি সাংবাদিকেই উল্টো প্রশ্ন করেন কে ফুল দিয়েছে আপনি জানেন বা দেখেছেন নাকি।