ধূমকেতু প্রতিবেদক, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে চাঁদাদাবী ও হামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তের নাম সাকলাইন (২৭)। সে চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল কালামের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজার ট্রাফিক মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম বলেন, পরিকল্পিত ভাবে আমার দুই ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তারা এমন কাজ করতে পারে না। এটা একটা ষড়যন্ত্র।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় নবনির্মিত মডেল মসজিদ নির্মাণের ছাদ ঢালাই কাজ চলছিল। এ সময় আটককৃত প্রধান অভিযুক্তের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা সেখানে আসে। এরপর ঠিকাদারের লোকজনের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করেন।
পরে তাদের চাঁদা না দেয়ায় কাজে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনকে মারধর ও জখম করে। এ ঘটনায় ২৪ অক্টোবর রাতে ভুক্তভোগি আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা দায়ের করেন।