ধূমকেতু নিউজ ডেস্ক : আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এই দিনটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার তিন মাসের মধ্যেই ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়।
জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিনটিকে ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। দিনটির কর্মসূচিতে শুরুতে ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়; উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা। ধারণ করা হয় শোকের কালো ব্যাজ।
দিনটি উপলক্ষে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ধানমণ্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সকাল ৯টায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে ওবায়দুল কাদের বনানী কবরস্থানে যান। সেখানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রাজশাহীতে কামারুজ্জামানের কবরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও মোনাজাতে অংশ নেন দলের নেতাকর্মীরা।
বনানীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন করাই এখনকার চ্যালেঞ্জ। সব গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে এক হয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে হবে।
চার নেতাকে হত্যার পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ সেল ঘিরে তৈরি হবে জাদুঘর। এতে থাকবে জাতীয় চার নেতার ব্যবহৃত আসবাব, ঘাতকের বুলেটের চিহ্ন ধরে রাখা লোহার শিক ও অন্যান্য জিনিসপত্র। নেতাদের কর্মজীবন ছাড়াও ঐতিহাসিক তথ্যচিত্রগুলো রাখা হবে প্রদর্শনীর জন্য।
চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গতবছরের ন্যায় এবারও জনসমাগম সীমিত করে জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।