ধূমকেতু প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার হরিপুরে ক্ষতিগ্রস্থ কালভার্টটি সংস্কার না করায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ না করায় বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী ছোট ছোট যানবাহন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২৫/৩০ বছর আগে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। গত ৩ বছর থেকে কালভার্টটি দেবে যাওয়ায়, তা চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কালভার্টটি মেরামতে এখন পর্যন্ত তা নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার হরিপুর-দারিয়াপুর থেকে বটতলাহাট রাস্তা যেতে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি ৪টি এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। কিন্তু ৩ বছরের বেশি সময় ধরে কালভার্টটি দেবে যাওয়ার পর থেকে নাজুক অবস্থায় পড়ে। কালভার্টটির ওপর দিয়ে যাতে করে ভারি ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে না পারে সেজন্য এটির দু’প্রান্তে লোহার পিলার বসায় পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো ছোট ছোট যান চলাচল করছে।
এরপর সেটি আর মেরামত করা হয়নি। এই রাস্তা দিয়েই পথচারীরা চলাচল করলেও কালভার্টটি ঝুঁকির মধ্যে থাকায় তাদের যাতায়াত করতে কষ্ট হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা সেলিম হোসেনসহ আরও কয়েকজন জানান, কালভার্টটি এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন চলতে পারছে না। বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ধান, চাল বা অন্য পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারে। তাদের অনেকটা পথ পণ্য নিয়ে ঘুরে যেতে হয়।
কালভার্টটি কয়েকটি এলাকার সংযোগ স্থল। এ রাস্তা দিয়ে ইজিবাইক, অটোরিকসা, রিকসা যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করলেও এখন এই ভাঙ্গা কালভার্টটি সংস্কার না করায় তুলানামুলক গত ৩ বছর ধরে যাত্রীসহ পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ। ফলে এলাকাবাসীসহ দূর দূরান্তের অনেকেই এই ভাঙ্গা কালভার্ট দিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতেই পড়েছেন। এটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল গনি জানান, এ কালভার্টটি এলজিইডির তত্বাবধানে থাকায় ২বছর থেকে এ অবস্থায় পড়ে আছে। আগের মেয়র নজরুল ইসলামও দেন দরবার করেছিলেন কিন্তু কাজ হয়নি। বর্তমান মেয়র মোখলেসুর রহমান এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলজিইডিকে মেরামতের জন্য অবহিত করেন।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোজাহার আলী প্রামাণিক বলেন, কালভার্টটি পুনঃসংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে।