ধূমকেতু প্রতিবেদক, পত্নীতলা ও ধামইরহাট : নওগাঁর পত্নীতলায় উৎসবমূখর ও আনন্দঘন পরিবেশে পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন ১৪ বিজিবির ৫৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (৮ জানুয়ারী) দুপুরে পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল হামিদ উদ্দিন পিএসসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ৫৬ তম বিজিবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন রাজশাহী সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার লে. কর্ণেল আমীর হোসেন মোল্লা, পিবিজিএম, পিএসসি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ-১৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আসাদুজ্জামান পিএসসি, জি, রাজশাহী সেক্টরের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর আবুল বাসার মোশাররফ হোসেন জিপ্লাস, পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফতাব উদ্দিন, ১৪ বিজিবির মেজর মোসলেহ উদ্দিন, জয়পুরহাট মহিলা ক্যাডেট কলেজের এ্যাডজুটেন্ট মেজর লুৎফুন নাহার মাসুমা।

আরও উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার, পত্নীতলা থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেব, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাইদ, স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ, কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান, নওগাঁ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ, নওগাঁ পবিস-২ এর সিনিয়র জিএম সন্তোষ কুমার সাহা।
এছাড়াও ডিজিএম শাহীন কবির, ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন অফিসার আয়হান ইসলাম, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা মুরাদ হোসেন, পত্নীতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বুলবুল চৌধুরী, নজিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরহার হোসেন, সাহাপার প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাপাহার উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবুল আখতার, ধামইরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুমুছা স্বপন, সাংবাদিক আবুল বয়ান আব্দুজ্জাহের উপস্থিত ছিলেন।

সবশেষে অত্যন্ত উৎসবমূখর ও আনন্দঘন পরিবেশে পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের ৫৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিভোজ সম্পন্ন হয় এবং বিকেলে ৫৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাপনী কর্মসূচী হিসেবে প্রীতি ভলিবল খেলা এবং সন্ধ্যায় “সীমান্তে উল্লাস” সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিকেলে প্রীতি ভলিবল খেলা এবং সন্ধ্যায় “সীমান্তে উল্লাস” সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ, ১৯৬৭ সালের ০৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এর তৎকালীন ইপিআর এর ১৪তম উইং হিসেবে বর্তমান পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দীর্ঘ ১৯৬৭ সাল হতে অদ্যাবধি এই ব্যাটালিয়ন সরকার কর্তৃক অর্পিত সকল দায়িত্ব এবং দেশমাতৃকার সীমান্ত রক্ষার মত পবিত্র দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে পালন করে আসছে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই ব্যাটালিয়নের৩৫ জন বিভিন্ন পদবীর সৈনিক শহীদ হন এবং ১৯৮৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের মারিশ্যায় দায়িত্ব পালনকালে তথাকথিত শান্তিবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ০২জন সৈনিক শাহাদাৎ বরণ করেন।