ধূমকেতু প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরের ছাতনী ইউনিয়নের ছাতনী দিয়ার নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্রী-শিক্ষক-ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ অভিভাবকবৃন্দ।
রোববার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ছাঈ-শিক্ষক-ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকবৃন্দ জানান, ২০০৩ সালে ছাতনী দিয়ার নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অত্র এলাকার সুফিয়া বেগম, জহির উদ্দীন সহ কয়েকজন ২ বিঘা জমি দান করেন। বিনিময়ে তাদের সন্তান বা পরিজনদের মধ্যে থেকে যোগ্য ব্যাক্তিকে শিক্ষক, কেরানী, পিয়ন, আয়া, দারোয়ান ও নাইট গার্ড হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্তির জন্যে আবেদন করলে সমস্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কাগজপত্রাদিও আবেদনের সাথে মন্ত্রালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেন শিক্ষক-কর্মচারীদের অরিজিনাল কাগজপত্রাদি জিম্মি করে নিজের কাছে রেখে দেন।
তারা আরও জানান, ২০২২ সালের ৬ জুলাই বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেন ২০০৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ে শ্রম দেয়া ৫ জন পুরাতন শিক্ষকের প্রত্যেকের নিকট থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। তাঁরা রাজি না হলে তাঁদের স্থলে নতুন শিক্ষকদের নাম বেনবেইজে অন্তর্ভুক্ত করেন। এছাড়াও কেরানি পদে জহির উদ্দীন ২০০৩ সাল থেকে নিয়োগ থাকলেও একই পদে প্রধান শিক্ষক তার ২য় স্ত্রী রুনাকে স্থলাভিষিক্ত করেন। আবার ঐ একই পদে শম্পা খাতুনের কাছ থেকে ২ দফায় ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
মানববন্ধনে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেন একজন নেশাখোর ব্যাক্তি। তিনি ছাত্রী-শিক্ষকদের সাথে অশালীন আচরণ করেন। তার এমন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ৪ জানুয়ারী বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সে স্থলে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মাহাবুল আলমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়।
এ ব্যাপারে নটোর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ব্যাপারে তিনি অবগত আছেন। কোন বিদ্যালয়ে এমপিও শিক্ষক নিয়োগ হতে গেলে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। যারা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই শিক্ষকতা করছেন তাদের কাগজপত্রাদি বৈধ হলে তারাই ঐ বিদ্যালয়ে এমপিও পাবেন।
প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেনকে রিং দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।