ধূমকেতু নিউজ ডেস্ক : ঝালকাঠি শহরের অপরাধপ্রবণ পুরাতন কলাবাগান এলাকা থেকে রাশেদ খান নামে এক যুবককে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার বিকালে স্থানীয় জুয়েল হাওলাদার বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় ‘ডিবি পুলিশের পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে’ একটি মামলা দায়ের করেন।
আটককৃত রাশেদ খান নবগ্রাম ইউনিয়নের মৃত ফিরোজ খানের পুত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এলাকাবাসী তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা তাকে অবরুদ্ধ করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সপোর্দ করে।
এ বিষয়ে পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটক রাশেদকে গণপিটুনি থেকে রক্ষা করা এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাতেই তাকে থানাপুলিশে দেয়া হয়।
কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা টিটু তালুকদার বলেন, রাশেদকে স্থানীরা ধরে ফেলার পরে সে নিজেকে মাদকনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক বলে পরিচয় দেয়। এরপর তাকে স্থানীয়রা মারধর করতে গেলে সে তখন নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়।
অভিযোগ রয়েছে, রাশেদ খান ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের আত্মীয় ও ব্যক্তিগত ক্যামেরাপার্সন হিসেবেও বিভিন্ন সময় পরিচয় দিত। তাছাড়া কখনো পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-এনএসআই, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্য, আবার কখনো সাংবাদিক দাবী করত।
শেখেরহাট আইডিয়াল ইয়ুথ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিসকাত উন নূর তাহসিন জানায়, গত ঈদুল ফিতরের দিন গাবখান সেতুতে রাশেদ তাদের ছবি তোলে। তখন রাশেদের পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে এনএসআই সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়।
একই অভিযোগ করে সঙ্গীত শিল্পী শান্তা ইসলাম জানান, আটক রাশেদ তার কাছেও একদিন গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়েছিল। ঐ সময় শান্তা তার ফেসবুক আইডিতে রাশেদকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন।
ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে খবর পেয়ে রাশেদকে কলাবাগান এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। নিজেকে আইনের লোক পরিচয় দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ১৭০ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সালাহউদ্দিন তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান ওসি খলিলুর রহমান।
