ধূমকেতু প্রতিবেদক, রায়গঞ্জ : বর্ষা মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার জনজীবন। বেশ কিছুদিন ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে সূর্যের তীব্র তাপদাহ। এতে প্রচন্ড গরমে বিপাকে পড়েছেন মানুষসহ সকল প্রাণীকুল। একটু গরম থেকে বাঁচার জন্য কুকুরও আপন মনে নেমে পড়েছে পানিতে।
এছাড়াও মাঠে-ঘাটে পানি না থাকায় আমন মৌসুমের হালচাষও রয়েছে বন্ধ। রোদের তাপ থেকে বাঁচতে কাছ-কর্ম ফেলে রেখে সবাই খুঁজছে একটু ছায়ার আশ্রয়। প্রচন্ড গরমের কারণে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার রাস্তাঘাট হাট-বাজার প্রায় জনশূণ্য হয়ে পড়ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
এদিকে গত কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমে জ্বর, ঠান্ডা, ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদিকে সাবধানে থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।
উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী রামেশ্বারগাতী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, এই ভরা বর্ষা কালে আমাদের ইউনিয়নের অধিকাংশ মাঠে পানি নেই। এসময় আমন ধান লাগানোর জন্য বৃষ্টির পানি খুবই প্রয়োজন হয়। এই বৃষ্টির পানিতেই কৃষকেরা তাদের জমি প্রস্তুত করে থাকেন। জমিতে পানি না থাকায় আমাদের এলাকার কৃষকেরা সময় মতো হালচাষ করতে পারছেন না।
উপজেলার হাটপাঙ্গাসী গ্রামপাঙ্গাসী চৌরাস্তা মোড় ভ্যান চালক আব্দুল্লাহ সরকার জানান, রোদের যে তাপ মনে হচ্ছে গায়ের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। যদিও ভ্যান পায়ে ঠেলতে হয়না তবুও রোদের কারণে রাস্তায় থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় কোমলপানীয়, জুস, আইসক্রিম, আখের রস ও শরবতের চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন বাজারের কনফেকশনারী ও শরবতের দোকানগুলোতেও দেখা গেছে উপচে পড়া ভীড়।
আগাম আবহাওয়া তথ্য মতে জানা যায়, দু’একদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বৃষ্টি হলেই গরমের তীব্র তাপমাত্রা কমে যাবে।