ধূমকেতু প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে শান্তি সমাবেশ ও পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দোকান ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ব্যবসায়ীবৃন্দ।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বুড়িরবাজার এলাকার (মহেন্দ্রনগর -বড়বাড়ী) মহাসড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালিত হয়।
উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের এ কর্মসূচির কারণে প্রায় দুই ঘন্টা মহেন্দ্রনগর-বড়বাড়ী মহাসড়কের দু’পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে থাকে। পরে দুপুর ২টার দিকে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরত দোকান মালিকদের ক্ষতিপূরণ ও বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবরোধ তুলে নেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১১ ফ্রেব্রুয়ারী) ১০দফা দাবী আদায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে লালমনিরহাটের সকল ইউনিয়নে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। এদিকে একইদিনে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই বুড়ির বাজারে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব আহত হন।
অপরদিকে, বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মজিদ মন্ডলের বাড়ি ভাংচুরসহ ১০টির অধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এতে উভয় দলের এ সংঘর্ষে প্রায় ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। পরে শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামীগের নেতাকর্মীদের শান্তি সমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা বুড়ির বাজারে অবস্থিত আওয়ামী সমর্থকদের দোকান ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠে।
এদিকে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলাজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। পরে জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।