ধূমকেতু প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘার হাটে এক মাছ ব্যবসায়ীর ছেলে ও ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগকে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহাগ তার বাবাকে মাছ বিক্রীতে সহায়তা করতে গেলে অতর্কিত এ হামলার চালানো হয়। এ ঘটনায় ১৭ হাজার ৫ শ টাকা লুটপাট করা-সহ ব্যবসায়ীক ক্ষতি সাধান করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
মামলার বাদী সোহাগ(২২)তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, দুপুর অনুমান ১ টা ৩০ মিনিটের সময় সে তার পিতাকে মাছের দোকানে সহায়তা করতে গেলে বিবাদী রাসেল (২৫) সুরুজ (৩৫) মনিরুল (২২) রাব্বি (১৯) সাহাজালাল (১৯) সহ অগ্যাত আরো ১০-১৫ জন লাঠি-সোটা, রড় ও হাতুড়ি দিয়ে তাকে মারপিট করা সহ দোকানের উপরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় সোহাগ মারাত্মক ভাবে জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
আহত সোহাগ জানান, সে ছাত্রলীগ করার সুবাদে স্থানীয় সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং বাঘা পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টুর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন সময় সে নানা রকম লাইক-কমেন্ট করে থাকেন। আর এ অপরাধে বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা তাকে মারপিট করে এবং তার পিতার দোকান লুট-পাট করে।
এদিকে ঘটনার পর সোহাগকে মারপিটের প্রতিবাদ জানিয়ে বাঘায় মিছিল করেছে তার সমর্থক সহ পিন্টু পক্ষের অসংখ্য ছাত্রলীগ কর্মী। তারা অবিলম্মে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তাদের ও বিচারের দাবি জানিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পথ অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
তবে এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু পক্ষের কর্মী ও যুবলীগ নেতা সুরুজ জামান দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি বাজারে উপস্থিত ছিলেন না। আগের দিন বাঘা দিঘীর পাড়ে রবি ভান্ডারীর ছেলে রাতুলের সাথে সোহাগ ও তার এক বন্ধুর কথা-কাটা-কাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে পরদিন বৃহস্পতিবার কে-বা কাহারা তাকে মারপিটের ঘটনা ঘটলো সেটি আমার জানা নেই।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত পুর্বব ব্যবস্থা নেয়া হবে।