ধূমকেতু প্রতিবেদক, সজিব আলম, লালমনিরহাট : প্রত্যান্ত পল্লীর এক জমিতে একই সাথে তিন ফসল চাষ করে বাম্পার ফলনে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন লালমনিরহাটের কৃষক। কে বলেছে? লালমনিরহাটের মাটি সবজী চাষের জন্য উপযোগি নয়, এমন বাক্যটিকে সঠিক প্রমাণ করতে একই জমিতে পরীক্ষা মুলক খিড়া ও পানি কুমড়া (জালি), এবং আলু চাষ করে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের চাষী জুহদ্দিন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাষী জুহদ্দিন নিজ বাড়ীর সামনে এক বিঘা জমিতে পরীক্ষা মুলকভাবে খিড়া ও পানি কুমড়া (জালি) এবং আলু চাষ করেছেন। এবারে এখন পর্যন্ত আকাশের আদ্রতা ভাল ও পোকার আক্রমন কম থাকায় এক জমিতে একই সাথে তিন ফসল চাষ করে ভাল ফলনের আশা এবং অধিক লাভের আশাবাদী তিনি।
কথা হলে কৃষক জুহদ্দিন এই প্রতিবেদককে জানায়, ‘এলাকার অনেকেই বলেছিলেন আমাদের হাতীবান্ধার মাটি না-কী সবজী চাষের উপযোগি নয়। আমারতো বেশি জমি নাই, তবুও শুধু মাত্র অনেকেরই ঐ কথা যাচাই করার জন্য এক বিঘা জমিতে পরীক্ষা মুলক খিড়া চাষ করি, কিন্তু যেহেতু আমার অল্প জমি সেই হেতু মনের মধ্যে দুবর্লতা কাজ করছিল। যদি খিড়া না হয়, তা হলেতো আমার ক্ষতি হবে এই ভেবে সাথী ফসল পানি কুমড়ো এবং আলু চাষ করি। নিয়মিত পরিচর্যা করি, সঠিক সময় জৈব এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে আসছি। এমনি অবস্থায় এখন পরীক্ষা মুলক ক্ষেতের অগ্রগতি দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছি।’ এলাকার মানুষও আমার একই জমিতে খিড়া ও পানি কুমড়া (জালি), এবং আলু চাষ দেখে যেন সবজী চাষ করতে আগ্রহী হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ওমর ফারুক জানান, জুহদ্দিনের মত অনেকেই অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবারে খিড়া এবং সবজী চাষ করে অধিক লাভের আশঙ্খা করছে চাষীরা। এছাড়াও আগামিতে সবজী চাষে চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে। তিনি বলেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ক্ষেতের আদ্রতাও ভাল দেখা যাচ্ছে। এজন্য চাষীরাও বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন। একই সাথে আগামিতে বেশি করে সবজী চাষ করার উৎসাহ বাড়ছে।
