ধূমকেতু প্রতিবেদক, পাবনা : পাবনার সুজানগররে সাগরকান্দি পোস্ট অফিসে গ্রাহকের প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গছে। সাগরকান্দি ইউনিয়নের পোস্ট মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও পোস্টম্যান মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুলের যোগসাজসে এই ঘটনাটি ঘটেেছ বলে জানয়িছেনে একাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক।
“নগদে টাকা রাখলে লাভ বেশি,” সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ডিজিটাল সেবা দেবার জন্য পোষ্ট অফিসের পাশাপাশি “নগদ” নামে আরেকটি সংস্থা চালু করছে। এমনই ভূল ভাল বুঝিয়ে পাবনা সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি পোষ্ট মাষ্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও পোস্টম্যান মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুলের প্রতারণার শিকার সাগরকান্দি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ।
জানা যায়, দুইজন গ্রাহক তাদের টাকা তুলতে গেলে পোষ্ট মাষ্টার ও পোষ্টম্যান তাদের টাকা না দিয়ে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরিকে জানালে, তিনি পোষ্ট অফিসের পোস্টম্যানকে পরিষদে ডেকে নেন এবং বুঝতে পারেন তারা গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করছে। তিনি তাৎক্ষণিক কয়েকজন গ্রাহকসহ পোষ্টম্যান মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুলকে আমিনপুর থানায় পাঠান।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার একদিন পরেই ডেপুটি পোস্ট মাস্টার আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে সাতবাড়িয়া পোস্ট অফিসে এবং সাতবাড়িয়া পোস্ট মাস্টার রফিকুল ইসলামকে সাগরকান্দি পোস্ট অফিসে বদলি করা হয়।
(নতুন পোস্ট মাস্টার) রফিকুল ইসলাম বলেন, পোস্টম্যান নূর হোসেন কোথায় আছে জানেন না, তবে গ্রাহকের বই হাতে নিয়ে বলেন এই সব বই ডাক বিভাগের না।
অনুসন্ধানে পোস্টম্যান নূর হোসেন বকুলের গ্রামের বাড়ি চাটমোহর উপজেলা হরিপুর গ্রামে খোঁজ করলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে দেখা যায় পোস্টম্যান নূর হোসেন বকুলের বাড়িতে ৬তলা ফাউন্ডেশন করে বাড়ি নির্মাণধীন রয়েছে।
পোস্টম্যান নূর হোসেন বকুলকে প্রায় ১৯ বছর পূর্বেও পোস্ট অফিসের টাকা আত্মসাত করায় দায়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এলাকায় তার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরির চক্র নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
সাধারণ গ্রাহকরা তাদের শেষ সম্বল (সঞ্চয়) ফিরে পেতে এবং উক্ত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।