ধূমকেতু প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ বলেন, ‘আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমরা রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাভরে শহীদদের স্মরণ করতে চাই। তাই এর পূর্বেই পূর্বনির্ধারিত ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত ভবনের জায়গায় রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
রাজশাহীতে প্রস্তাবিত স্থান ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত ভবনের জায়গায় কোন বিলম্ব ছাড়াই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দাবীতে মানববন্ধন করে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ। সোমবার বেলা ১২ টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে ছাত্রলীগ আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবী জানান তিনি।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একমত পোষণ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোনাদিঘি সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত ভবনের জায়গায় রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শহীদ নির্মাণের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি। এখন আমরা জানতে পেরেছি, সার্ভে ইনস্টিটিউটের জায়গায় বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এই অপচেষ্টা আমরা কোনভাবেই বাস্তবায়ন হতে দিবো না।
রবি কুমার ঘোষ বলেন, সোনাদিঘি রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্রে। আমাদের প্রাণের দাবি, প্রস্তাবিত স্থানেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ চাই। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকলে একসাথে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে চাই। এছাড়া শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে উন্মক্ত জায়গা রাখার দাবিও জানান তিনি।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈম।
বক্তারা বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে শহীদদের স্মরণে রাজশাহীতেই দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি আমাদের গর্ব ও অহংকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিনেও রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। অথচ যখন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে, ঠিক তখনই একটি মহল সেটাতে বাধা দিচ্ছে। শহীদ মিনার নির্মাণে বাধা দেওয়া, শহীদদের আঘাত করার সামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মানববন্ধন রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ দ্বীপ ও মিলন কুমার সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাফাত হোসেন রিয়াদ, নিউ ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ।