ধূমকেতু প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : যুগে যুগে অত্যাচারীদের অত্যাচার বৃদ্ধি পায়, আবার অবতারদের আগমনে সে অত্যাচারীদের পতনও হয়। যখন কংশরাজের অন্যায় অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছিল, ঠিক সে সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল। অত্যাচারীদের বিনাষ করেছিল। কংশরাজ জানতেন তার নিকট আত্মীয় বা ভগ্নিরগর্ভে যে পুত্র সন্তান জন্ম নিবে সে তাকে ধ্বংশ করবে। তাই দেবকি ও তার স্বামীকে কংশরাজ মথুরার কারাগারে বন্দি করে রেখেছিলেন। তাদের বন্দি করে রাখার কারণে দেবকির ৭টি সন্তানকে কংশরাজ জন্মের পরেই হত্যা করে। অষ্টম গর্ভের সন্তান এই ভগবান শ্রী কৃষ্ণ। সে ধ্বংশ করেছিল কংশরাজকে। প্রতিষ্ঠা করেছিল শান্তি।
সোমবার বেলা ১২টায় জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথি জন্মষ্টমী উপলক্ষে উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালীতে প্রধান অতিথি হিসাবে খাদ্যমন্ত্রী বীরমৃক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি বাবু ঈশ্বর চন্দ্র বর্মনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব।
উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন বিজয়পুরীর সঞ্চালনায় আরও অতিথি ছিলেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ সভাপতি ও ভাবিচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উৎপল কান্ত সরকার পিন্টু, পবিত্র কুমার, চন্দননগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিশিরাজ বর্মন, পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অবিনাষ চন্দ্র মহন্ত, উপজেলা রবিদাস পরিষদের সভাপতি নকুল রবিদাস, নিয়ামতপুর উপজেলা জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি লগেন কুজুর, ওরাও ছাত্র পরিষদ (বসা) সভাপতি কাজল কুজুর, ভাবিচা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তুশিত কুমার সরকার, আদিবাসী সমন্বয় পরিষদ নেতা দয়াল রবিদাস, আদিবাসী নেতা অজিত মুন্ডা প্রমুখ।