ধূমকেতু প্রতিবেদক, রায়গঞ্জ : দীর্ঘ অপেক্ষার পর বৃস্টির কারনে অবশেষে সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত চলতি মৌসুমে পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার পাট চাষিরা।
পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকেই পাটকে শুকাইয়া পাট খড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেও গত দু’দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোটামুটি ভাল বৃষ্টি হওয়ার কারণে আশার আলো দেখছেন পাট চাষিরা। অনেকেই আবার আল্লাহর শুক্রিয়াও আদায় করেন। যদিও এখনি পুরোদমে পাট ছাড়ানো শুরু না হলেও শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে পাট জাগ দেওয়া।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাট চাষের শুরুতে কম বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক স্থানে পাট কাটা, জাগ দেওয়া এবার একটু দেরি হয়ে গেলেও ফলন হয়েছে বেশ ভালই। বৃষ্টির পর পাট চাষিদের মুখে দেখা যাচ্ছে হাঁসির ঝিলিক।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভাল মানের পাটের মূল্য ৩০০০ খেকে ৩২০০ টাকা মন আর একটু নিম্নমানের পাটের মূল্য ২৭০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে উপজেলার ভ্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বেশ ভাল ফলন হয়েছে পাটের। তাছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি থাকায় লোকশানে পড়তে হবেনা বলে আশাবাদি উপজেলার পাট চাষিদের। বলা চলে বৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাওয়া ডোবা-নালা পুনরায় পানিতে ভরে যাওয়ায় অবশেষে মনের আনন্দে সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার অধিকাংশ পাট চাষিরা।