ধূমকেতু প্রতিবেদক : রাজশাহীতে জানুয়ারী মাসে ১৮ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস)।
লফসের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারী মাসে ঘটে যাওয়া নারী ও শিশু নির্যাতনের চিত্র :
জৈনক এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে গোদাগাড়ীতে স্কুল ছাত্রীকে ওড়না টেনে অশ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগ, পুঠিয়া উপজেলায় ১০ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী অপহরণের শিকার, বাগমারা উপজেলায় আর্নিকা (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রী একই কলেজের শিক্ষক দ্বারা শ্লীলতাহানীর শিকার হয়ে আত্বহত্যার চেষ্টা, তানোর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে একাধিক বার দৈহিক সম্পর্ক করে বিয়েতে অস্কৃতি, কাটাখালী থানাধীন মল্লিকপুর গ্রামে এক কিশোরী অপহরণ, তানোর উপজেলার তালন্দ বাজার এলাকায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়।
এদিকে, নগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ, তানোর উপজেলায় তালন্দ ইউনিয়নে ময়না আক্তার মুক্তা (২৫) স্বামী কর্তৃক শারীরিক ভাবে নির্যাতিত, বাঘা পৌর এলাকায় জরিনা খাতুন নামে এক নারী স্বামী দ্বারা নির্যাতনের শিকার, গোদাগাড়ী উপজেলার ললিতনগর চাঁদলাইন এলাকায় এক আদিবাসী নারী এলিজাবেদ (৪৫) জৈনক ব্যক্তি দ্বারা নির্যাতিত, তানোর পৌর এলাকায় শাহেদা (২৫) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা, তানোর উপজেলার মাদারীপুর বাজারে এক মুদি দোকানীর পরকীয়া দেখে ফেলায় এক গৃহবধূ ও অপর এক নারী নির্যাতনের শিকার হন।
অপরদিকে, বাঘা উপজেলা চন্দ্রগাতি গ্রামে ধর্ষণের অভিযোগ চার সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে, বাঘা উপজেলার বাউসা টাউরি পাড়া গ্রামে এক গৃহবধূর আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, নগরীতে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ, নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় আয়েশা খাতুন (২১) নামে কলেজ ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ তার স্বামীর বিরুদ্ধে, কাটাখালি এলাকায় দেবরদের নির্যাতনের শিকার এক বিধবা নারী।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। রাজশাহী অঞ্চলে নারী-শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।