ধূমকেতু প্রতিবেদক : চলছে পাঁচদিনের সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। সব বয়সী বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের হৃদয়ে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার। এর মধ্যে মঙ্গলবার দুর্গতিনাশিনী দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের মাধ্যমে মহাসপ্তমী পূজা হয়। যা শেষ হয় দেবী দুর্গার আগমনের পর। মহাসপ্তমীর পর আজ মহাঅষ্টমী।
এ উপলক্ষে রাজশাহীতে মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকার ত্রীকোণ মন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিট থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত তিথি অনুযায়ী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
কুমারী পূজায় অংশ নিতে মহানগরীর কুমারী কন্যাদের ঢল নামে ওই মন্দিরে। সকাল থেকেই কুমারীরা পূজা-অর্চনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
পরে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে পূজা শুরু হলে কুমারীরাও এতে অংশ নেয়।
কুমারী পূজার দেবীর আসনে বসানো হয় ইউনিক পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইন্দ্র প্রভা দাস তিতলিকে।
হিন্দু শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে থেকে। বর্ণিত রয়েছে, কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাহিন্দু শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে থেকে।
বর্ণিত রয়েছে, কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। সে সব দেবতাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।কালীর শরণাপন্ন হন।
সে সব দেবতাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।
এর আগে মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে গত সোমবার শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ১৫ অক্টোবর দুর্গোৎসব শেষ হবে। এবার রাজশাহী মহানগর ও জেলার মোট ৪৫৬ পুজা মণ্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।