ধূমকেতু প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের লাইন স¤প্রসারণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদ করায় তিন ভাইয়ের নামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মামলা করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার সেখেরপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের তিন ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮), ভাষানী ইসলাম ভাষা (৩৬), ওয়ায়েস আলম (৩২)। পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির গোদাগাড়ী অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ইবনে খালিদ বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণের কাজে বাঁধা দিয়ে তিন ভাই তাঁকে মারধর করেছেন। তবে আসামিরা বলছেন, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। মামলা মিথ্যা।
ভুক্তভোগীরা জানান, সেখেরপাড়া গ্রামের উত্তর দিক দিয়ে গ্রামের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্তে বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। গত বুধবার গ্রামের উজ্জ্বল, শাহীন রেজা, সাবু ও গাজুর বাড়ির পাশ দিয়ে একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের তার টেনে তাঁদের পুকুরের পাশে আনা হয়। এরপর পুকুরের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর এ জন্য তাঁদেরসহ আশপাশের আরও অনেকের গাছ ও ডালপালা কাটা হচ্ছিল। এ সময় তাঁরা তিন ভাই না জানিয়েই গাছ ও ডালপালা কাটা এবং পুকুরের ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের তার টানার প্রতিবাদ করেন। তখন পল্লি বিদ্যুতের কর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বিদ্যুতের কর্মীরা তাঁদের সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেন। তখন গ্রামের আরও কয়েকজন এর প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মী ওয়ায়েস আলমকে চড় মারতে আসেন। ওয়ায়েস তা প্রতিহত করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আর এ নিয়েই পরদিন থানায় তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় উল্টো অভিযোগ করা হয়েছে, তিন ভাই ইনচার্জ ইবনে খালিদকে মারধর করেছেন। ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম বলেন, জমির ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হবে এটা আগে থেকে জানানো হয়নি। হুট করে বিদ্যুতের কর্মীরা আমাদের জমির গাছপালা ও ডাল কেটে ফেলতে শুরু করেন। তাঁরা পুকুরের ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের লাইন টেনেছেন। এর প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির গোদাগাড়ী অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ইবনে খালিদ বলেন, তাঁরা আমাকে মারধর করেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে গিয়েই মামলা করেছি। আর মামলা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ছোট একটা ঘটনা নিয়ে মামলাটি করা হয়েছে। সেটা তদন্তের জন্য থানার একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আইনগত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।