ধূমকেতু নিউজ ডেস্ক : প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস। সেখানে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বামপন্থী নেত্রী শিওমারা কাস্ত্রো। এ জয়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ক্ষমতাসীন দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল পার্টি অব হন্ডুরাস স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তাদের হার স্বীকার করে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শিওমারা কাস্ত্রো ছিলেন লিবার্টি অ্যান্ড রেভলিউশনারি পার্টির (এলআইবিআরএফ) প্রার্থী।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্ধেকের বেশি ভোটগণনা হয়েছে। তাতে বামপন্থী কাস্ত্রো পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ ভোট। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণপন্থী নার্সি অ্যাসফুরা পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ ভোট।
হার স্বীকার করে নার্সি বলেন, ‘আমি তাকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি, ঈশ্বর তাকে পথ দেখাবেন। তার প্রশাসন হন্ডুরাসের ভালো করবে, গণতন্ত্রের চাহিদা মেটাবে এবং উন্নয়নের পথে চলবে।’
হন্ডুরাসের অনেক ভোটদাতার ভয় ছিল, ২০১৭ সালের মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়। সেবার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পর বিক্ষোভ-সহিংসতা শুরু হয়। এতে প্রাণ যায় অন্তত ২৩ জনের।
কাস্ত্রোর জয়ের ফলে হন্ডুরাসে দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল পার্টি সরকারের অবসান হলো। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জুলিয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্ডেজের আমলে মানুষের ক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার কেলেঙ্কারিতে যুক্ত।
কাস্ত্রোর স্বামী এবং এলআইবিআরইর কোঅর্ডিনেটর ম্যানুয়েল জেলায়া ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কিন্তু অভ্যুত্থানের ফলে তিনি ক্ষমতাচ্যূত হন।
এখন কাস্ত্রো সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে। বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সহিংসতা বাড়ছে। ২০২০ সালে উত্তর হন্ডুরাস দুটি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।
এ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছেন, তিনি কাস্ত্রোর সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছেন।
ব্লিংকেন বলেন, ‘হন্ডুরাসে ভোটের হার ছিল খুব ভালো। ভোট শান্তিতে হয়েছে। এর একটা ভালো প্রভাব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পড়বে।’
