ধূমকেতু প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর অদূরে পবা উপজেলার মুরালিপুরে ট্রাক ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী ও চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার ঘোষালপাড়া গ্রামের মৃত কেতাব আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার (৫৫) ও তার স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম (৪৫) এবং একই উপজেলার ঘোষালপাড়া গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে সিএনজি চালক আনসার আলী (৪০)। আহত যুবকের নাম রায়হান শুভ (২৬)। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয় ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সাত্তারের মৃত্যু হয়। সিএনজির তিন যাত্রীর মধ্যে ২জনের মৃত্যু ও চালকের মৃত্যু হয়েছে। এখন দুর্ঘটনায় আহতবস্থায় একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার বিকেল পৌণে ৩টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার মুরালিপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানান, বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে স্বামী-স্ত্রীসহ তিন যাত্রী সিএনজি যোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে যাত্রীবাহী সিএনজিটি মুরালিপুর এলাকায় পৌঁছালে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি বেপরোয়া গতির ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক আনাসার আলী ও ফেরদৌসি নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। আহত ২ জনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ট্রাক চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা সেখানে ভীড় জমায়। লকডাউনের মধ্যেই ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রথমদিন থেকেই ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউন। অনেকেই লকডাউন উপেক্ষা যানবাহন চালাচ্ছেন বেপরোয়াভাবে। প্রায় এই রাস্তায় বেপরোয়া চালনার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফেরদৌসির স্বামী আব্দুস সাত্তারের মৃত্যু হয়। পরে লাশটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে লাশগুলো হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এ বিষয়ে আরএমপির দামকুড়া থানার এসআই আজিজুর বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ২ জন ও পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাশগুলো মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত হবে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ও ট্রাককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।